দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা কয়েকদিনের মুষলধারের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস। এখনো জরুরি উদ্ধার অভিযান চলছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ৪১ হাজারেরও বেশি পরিবারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় এলাকা। তবে এখন বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে, কিন্তু রাজধানী সিউল ও উত্তরাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। প্রচণ্ড বন্যার পানিতে হাজার হাজার রাস্তা ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত ও ডুবে গেছে। এছাড়াও কৃষিজমির ক্ষতি ও গবাদি পশুর ব্যাপক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষত সানচেওং কাউন্টিতে ছয় জনের মৃত্যু ও সাত জন নিখোঁজ হয়েছেন।

সিউলের কাছে উত্তরাঞ্চলের একটি পার্বত্য এলাকা এবং পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জায়গায়ও প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার দেশব্যাপী একাধিক অঞ্চলে ভূমিধসের গুরুতর সতর্কতা জারি করেছে এবং ২০ জুলাই রোববার একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।